শনিবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৫, ০৪:৫৫ অপরাহ্ন

দৃষ্টি দিন:
সম্মানিত পাঠক, আপনাদের স্বাগত জানাচ্ছি। প্রতিমুহূর্তের সংবাদ জানতে ভিজিট করুন -www.coxsbazarvoice.com, আর নতুন নতুন ভিডিও পেতে সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল Cox's Bazar Voice. ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে শেয়ার করুন এবং কমেন্ট করুন। ধন্যবাদ।

মেজর সিনহা হত‍্যা মামলা: আজ ৫ নং সাক্ষীর সাক্ষ‍্যগ্রহণ শুরু

বিশেষ প্রতিবেদক:
কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলায় দ্বিতীয় দফা সাক্ষ‍্যগ্রহণের আজ তৃতীয় দিনে ৫ নং সাক্ষীর সাক্ষ‍্যগ্রহণ শুরু হয়েছে।

মঙ্গলবার (৭সেপ্টেম্বর) সকাল সোয়া ১০টারদিকে কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইলের আদালতে হাফেজ মোহাম্মদ আমিনকে নিয়ে এ সাক্ষ্যগ্রহন শুরু হয়েছে। এছাড়াও সাইফুল আবছার ও মো: শওকত আলীকে আদালতে উপস্থিত রাখা হয়েছে। এ পর্যন্ত ৪জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহন সম্পন্ন হয়েছে। আজ ৫নং সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহন চলছে।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ও কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ফরিদুল আলম জানান, মঙ্গলবার সকাল ১০টারদিকে কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইলের আদালতে এ সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়েছে।

পিপি ফরিদুল বলেন, গত ২৩ থেকে ২৫ আগস্ট প্রথম দফায় সাক্ষ্যদানের জন্য ৮৩ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৫ জনকে আদালত নোটিশ দিয়েছিলেন। ওই তিনদিনে মামলার বাদী ও ২ নম্বর সাক্ষি জবানবন্দি প্রদান করেন। রোববার থেকে দ্বিতীয় দফায় প্রথম ও দ্বিতীয় দিনে মামলার ২ জন সাক্ষির সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে।

” দ্বিতীয় দফায় শুরু হওয়া বিচার কাজে আগামীকাল ( বুধবার ) পর্যন্ত আদালতের নোটিশ পাওয়া অপর ১১ জন সাক্ষি জবানবন্দি প্রদান করার কথা রয়েছে। এতে দ্বিতীয় দফার তৃতীয় দিনে হাফেজ মোহাম্মদ আমিনের জবানবন্দি গ্রহণের মধ্য দিয়ে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়েছে বলে জানান রাষ্ট্রপক্ষের এ আইনজীবী।

ফরিদুল জানান, আগামীকাল ( বুধবার )  পর্যন্ত দ্বিতীয় দফার সাক্ষ্যগ্রহণ অনুষ্টিত হবে।

গত বছর ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান।

এ ঘটনায় গত বছর ৫ আগস্ট সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস বাদী হয়ে টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও বাহারছড়া তদন্ত সাবেক ইনচার্জ পরিদর্শক লিয়াকত আলীসহ ৯ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। মামলায় প্রধান আসামি করা হয় লিয়াকত আলীকে। আদালত মামলার তদন্ত ভার দেয়া হয় র‍্যাবকে।

ঘটনার ৬ দিন পর ওসি প্রদীপ ও পরিদর্শক লিয়াকতসহ ৭ পুলিশ সদস্য আত্মসমপর্ণ করেন।

ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে টেকনাফ থানায় একটি এবং রামু থানায় আরেকটি মামলা দায়ের করেন।

পরে র‍্যাব পুলিশের দায়ের মামলার ৩ সাক্ষি এবং শামলাপুর চেকপোস্টে দায়িত্বরত আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়ানের (এপিবিএন) এর ৩ সদস্যকে গ্রেপ্তার করে। এরপর গ্রেপ্তার করা হয় টেকনাফ থানা পুলিশের সাবেক কনস্টেবল রুবেল শর্মাকে। সর্বশেষ গত ২৪ জুন আদালতে আত্মসমর্পণ করেন টেকনাফ থানার সাবেক এএসআই সাগর দেব।

গত বছর ১৩ ডিসেম্বর র‍্যাব-১৫ কক্সবাজার ব্যাটালিয়ানের তৎকালীন দায়িত্বরত সহকারি পুলিশ সুপার খাইরুল ইসলাম ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।

গত ২৭ জুন আদালত ১৫ জন আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। এতে সাক্ষি করা হয় ৮৩ জনকে।

ভয়েস/আআ

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved © 2023
Developed by : JM IT SOLUTION